October 7, 2024, 12:24 am

সংবাদ শিরোনাম
স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমি রক্ষা করতে হলে প্রতিটি ঘরে সেনাবাহিনী তৈরি করতে হবে(পর্ব-৫) আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জামায়াত নেতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪) ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে গড়তে হলে সংস্কার প্রয়োজন=== বৈষম্য বিরোধী অভিভাব ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি ভোলা বোরহানউদ্দিনে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকগণের ১০ম গ্রেডের দাবিতে মানববন্ধন শারদীয় দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের লক্ষে বগুড়ায় বিএনপির মতবিনিময় সভা! লক্ষ্মীপুরে কুমিরের আতঙ্কে এলাকাবাসী সাংবাদিক পুত্র আবির হোসেন অনন্ত’র জন্মদিন আজ বিল্লাল হুসাইন

সাবধান অ্যান্টিবায়োটিক থেকে

সাবধান অ্যান্টিবায়োটিক থেকে

ডিটেকটিভ লাইফস্টাইল ডেস্ক

সাধারণ ঠাণ্ডা-জ্বর দুএকদিনেই সেরে যায়। এজন্য অ্যান্টিবায়োটিকের দরকার পড়ে না।

তবে চাইলেই হাতের কাছে ওষুধ পাওয়া যায় বলে আমরা সবাই কমবেশি চকলেটের মতো ওষুধ খেতে শুরু করি।

অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজনের চাইতে বেশি সময় সেবন করলে তা সংক্রমণ সারানোর বদলে আরও গুরুতর সংক্রমণের কারণ হতে পারে।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে প্রয়োজন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের কুফলগুলো এখানে দেওয়া হল।

ভাইরাস নয়, প্রধানত ব্যাকটেরিয়াজনীত রোগ ও সংক্রমণ সারাতে অ্যান্টি-বায়োটিক সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তবে অনেকেই সামান্য ঠাণ্ডা-জ্বরে পড়লেই টপাটপ অ্যান্টিবায়োটিক খেতে শুরু করেন।

ঠাণ্ডা-জ্বর ভাইরাসজনীত রোগ, যার উপর অ্যান্টি-বায়োটিকের কোনো উপকারী প্রভাব নেই। বরং ক্ষতিকর প্রভাব থাকতে পারে।

বর্তমান সময়ে এ বিষয়ে সচেতন হয়ে সামান্য রোগ সারাতে ঘরোয়া উপায় বেছে নিচ্ছেন কিছু মানুষ। তবে ওষুধের ভুল ব্যবহারের মাত্রা এখনও উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেশি।

পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার পাশাপাশি আরও ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাপার হল অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজন ছাড়া সেবন করলে অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি অকার্যকর হয়ে যেতে পারে।

নিয়মিত এধরনের ওষুধ সেবনের কারণে শরীরে তৈরি হয় এই ওষুধের প্রভাব নিয়ামক উপাদান। ফলে ভবিষ্যতে মারাত্বক কোনো রোগের চিকিৎসা হিসেবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করলেও তা কোনো কাজে আসবে না।

একটি গবেষণায় দেখা গেছে, অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াকেও প্রভাবিত করে অ্যান্টিবায়োটিক। রোগ প্রতিরোধক কোষ ধ্বংসের মাধ্যমে রোগাক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়।

শরীরে যে পরিমাণ শ্বেত রক্তকণিকা থাকে তা রোগ প্রতিরোধ এবং সংক্রমন তাড়াতে যথেষ্ট। অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার পাশাপাশি অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস হয়, যা শ্বেত রক্তকণিকার কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

গবেষণা বলে, ওষুধের প্রতি নিয়মিত নির্ভরশীলতার কারণে শরীরের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে।

তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন না করাই সবচাইতে ভালো। আর রোগী অপ্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন করছেন কিনা এবং করলে তার কারণে কোনো ক্ষতি হচ্ছে কিনা সে বিষয়েও চিকিৎসকদের সচেতন হতে হবে।

আবার অ্যান্টিবায়োটিক কোর্স পুরোপুরি শেষ করাও যে জরুরি সেটা মাথায় রাখতে হবে। সমস্যা সেরে গেলেই ওষুধ খাওয়া বন্ধ করা উচিত নয়।

এছাড়া বাকি কাজ শরীরকেই করতে দেওয়া ভালো।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর